ডিটেকটিভ স্পোর্টস ডেস্ক
এই দিনে থাকতে পারতেন কুয়ালা লামপুরে। খেলতে পারতেন কিনারা ওভালে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে। কিন্তু বাংলাদেশ যুব দলের অধিনায়ক সাইফ হাসান ও সহ-অধিনায়ক আফিফ হোসেনকে পাওয়া গেল মিরপুর একাডেমি মাঠে। বিপিএল দল খুলনা টাইটানসের অনুশীলনে।
মালেয়েশিয়ায় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এগিয়ে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্যায়ে ভারতকে বিদায় করে দেওয়াসহ জিতেছিল তিন ম্যাচের তিনটিতেই। বিপত্তি বাধে সেমি-ফাইনালে।
পাকিস্তানের বিপক্ষে সেমিতে ২৭৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ, টুর্নামেন্টে সব দল মিলিয়ে সর্বোচ্চ স্কোর। সেই রান টপকাতে পারেনি পাকিস্তান। কিন্তু ম্যাচ ঠিকই জিতে যায়। ৩৯ ওভারে পাকিস্তানের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৯৯। বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জিতে নেয় পাকিস্তান ২ রানে।
বিপিএলের অনুশীলনে এলেও সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সাইফকে ফিরে যেতে হলো সেই সেমি-ফাইনালে। দায় দিলেন ভাগ্যকে। ৯২ রান করে মূল বাধা হয়ে থাকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ তাহাকে তখন মাত্রই ফিরিয়েছিল বাংলাদেশ। সাইফের বিশ্বাস, পুরো খেলা হলে বাংলাদেশই জিতত।
“পুরো ম্যাচ আমরাই দাপটে খেলেছি। বৃষ্টি আসার আগ পর্যন্ত আমরা এগিয়ে ছিলাম। ¯্রফে আগের ওভারটিতেই ৯-১০ রান নিয়ে ওরা এগিয়ে গিয়েছে। দুভার্গ্য আমাদের। আবহাওয়ার ওপরে তো নিয়ন্ত্রণ নেই। যদি পুরো ম্যাচ হতো, আমরা হয়তো ম্যাচটা জিততাম।”
সেই হারকে পেছন ফেলে সাইফ এখন মন দিতে চান বিপিএলে। দারুণ সম্ভাবনাময় এই তরুণ ব্যাটসম্যানের বিশ্বাস, বিপিএল থেকে তার অনেক কিছুই শেখার আছে।
“খুব ভাল একটা অভিজ্ঞতা হবে। জাতীয় ক্রিকেটাররা আছেন, বিদেশি ক্রিকেটার আছেন অনেক। খুব ভাল অভিজ্ঞতা অর্জন করা যাবে। এখান থেকে যতটা সম্ভব নেওয়ার চেষ্টা করব।”
শিখতে চাইলে খুব কাছেই আদর্শ একজনকে পাবেন সাইফ। খুলনা টাইটানসের কোচ মাহেলা জয়াবর্ধনে। সাইফ জানালেন, সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের কাছ থেকে শেখার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি।
“উনি গ্রেট ব্যাটসম্যান, আমার খুব পছন্দের। ছোটবেলা থেকেই ওঁর ব্যাটিং অনুসরণ করি। এখানে ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু নেওয়ার চেষ্টা করবো, যতটুকু সম্ভব।”